কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। এবং এর পুষ্টি গুণাগুণ বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ছোট-বড় সবাই সহজেই কলা খেতে পারে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।

কলার উপকারিতা

কলা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত, মজবুত ও সুস্থ করে তোলে। শুধু তাই নয়, ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শিল্পের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো কী কী-

1. নিয়মিত কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কারণ কলায় ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যা আমাদের শরীরের ফ্রি র‌্যাডিকেল কমাতে সাহায্য করে যাতে আমাদের শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

2. এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

3. কলা খনিজ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই পটাশিয়াম আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

4. যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং ক্রীড়াবিদ বা খেলাধুলায় জড়িত তাদের জন্য কলা একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় ফল। আমরা যখন ব্যায়াম করি বা কোন খেলাধুলা করি তখন আমাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বা ক্ষরণ হয়। ফলস্বরূপ, ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অল্প পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট বা খনিজ পদার্থ নির্গত হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ রয়েছে যেমন ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি।

5. যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় এটি পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

6. পেট খারাপ হলে কাঁচকা খেলে উপকার পাবেন। কলা পটাসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ। যাইহোক, উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রার কারণে, রেনাল ফেইলিওর বা অন্যান্য চিকিৎসাগত অবস্থা যাদেরকে তাদের পটাসিয়াম গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয় তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়।

7. যাদের ওজন বেশি তাদেরও কলা খেতে বলা হয়। অন্যান্য ফলের তুলনায় কলায় ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি।

8. কলায় লেকটিন নামক প্রোটিন পাওয়া যায়। এই লেকটিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন লিউকেমিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।

কলার ক্ষতিকারকতা/ যাদের জন্য

1. অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে, তাই রাতে কলা না খাওয়াই ভালো।

2. সর্দি হলে কলা না খাওয়াই ভালো, কারণ প্রচুর পরিমাণে কলা খেলে আমাদের সর্দি ধরার প্রবণতা বেড়ে যায়। শিশুদের সম্পর্কে সচেতন হন।

3. অনেক বেশি কলা খেলে আমাদের ওজন বাড়তে পারে।

4. কলায় প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, তাই বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া বা খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

Recent Posts

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *