দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
2016 সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় 40টি দেশে দুধ দিবস পালিত হয়। এদিন জাতীয় অর্থনীতিতে দুগ্ধ শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়। দুধ আমাদের সবার কাছে পরিচিত। দুধের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অসুবিধাও আছে। আমরা অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করলেও অনেকেই তা অপছন্দ করি। দুধে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দুধ পুষ্টিতে পূর্ণ। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্ক সবারই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত। দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। দুধকে সুপার ফুড বলা হয়। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২, যা মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। দুধ শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি শরীরের টিস্যু এবং কোষের মেরামতের জন্য খুব উপকারী।
এক নজরে জেনে নিন দুধের উপকারিতা ও ক্ষতি।
> দুধের উপকারিতা:-
*স্মৃতি শক্তি বাড়ায়: কম চর্বিযুক্ত দুধ মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে এবং আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন B12 এর একটি ভাল উৎস, মানসিক শক্তি বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। যাদের ভিটামিন বি-12 এর অভাব রয়েছে তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তাই আপনি একজন স্কুল-বয়সী শিশু বা 60 বছর বয়সী, কম চর্বিযুক্ত দুধ পান করুন এবং আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ান। এটি আপনাকে বয়স-সম্পর্কিত জ্ঞানীয় পতন থেকেও রক্ষা করবে।
* ওজন কমাতে: দুধ ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর একটি ভাল উৎস, যা শরীরের উপর চর্বি-জ্বালা প্রভাব ফেলে। দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং জল থাকে, যা আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে। এছাড়াও, এতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড, যা মোটা ব্যক্তিদের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। প্রতিদিন স্কিম দুধ পান করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ওজন কমাতে প্রচুর ব্যায়াম করুন।
* হাড় ও পেশী মজবুত করতে: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের হাড় ও মাংসপেশিকে মজবুত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে আমাদের হাড় মজবুত ও মজবুত হবে।
* শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে: শরীরে শক্তি যোগাতে দুধের উপকারিতা অনেক। আমরা প্রতিদিন যতই ব্যস্ত থাকি না কেন। আমাদের শরীর খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। নিয়মিত দুধ পান করতে পারলে এই ক্লান্তি দূর হবে। গরুর দুধে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাসসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
* মানসিক চাপ দূর করতে: দুধের পুষ্টি উপাদান আমাদের মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। আমরা যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি বা চিন্তিত হই, তখন আমরা খুব ক্লান্ত ও ভেঙে পড়ি। আমরা যদি প্রতিদিন দুধ পান করি, তাহলে এই ক্লান্তিগুলো দূর হবে, ফলে মন ও শরীর সতেজ থাকবে। তাই আমাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
* হার্ট সুস্থ রাখে: প্রতিদিন দুধ পান করলে হার্ট সুস্থ থাকে। কম চর্বিযুক্ত দুধ খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। আপনার হৃদয় সুস্থ রাখতে প্রতিদিন দুখা পান করুন।
* ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে: এটি দুধের অন্যতম উপকারিতা। আমরা জানি যে দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। জানা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন দুধ পান করলে এই সমস্যা কমে যাবে। তবে কম চর্বিযুক্ত দুধ খাওয়া উচিত।
* পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি: পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি কমাতে দুধের অনেক উপকারিতা রয়েছে। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করে, তবে কম চর্বিযুক্ত দুধ খাওয়া উচিত।
Pingback: খুসখুসে কাশি হলে কী করবেন? - Job Information 24