ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
ডিম আমাদের খাদ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ডিম সবার প্রিয় খাবার। প্রত্যেকেরই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কমবেশি জানা উচিত। আবার, এর প্রাপ্যতার কারণে, ডিম প্রতিদিনের খাবারের অন্তর্ভুক্ত। পুষ্টিগুণ ও সহজলভ্যতার কারণে অনেকেই ডিম বেশি খান। অনেকে তাদের খাদ্যের অংশ হিসেবে বেশি করে ডিমও খান। কেউ রোগের কথা ভেবে ডিম বাদ দেন। অতিরিক্ত কিছু যেমন ভালো নয়, তেমনি এটিকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়ারও কোনো মানে হয় না।
ডিমে কি আছে
ডিমের দুই-তৃতীয়াংশ হল সাদা অংশ এবং এক-তৃতীয়াংশ হল হলুদ অংশ বা কুসুম। সাদা অংশে প্রধানত প্রোটিন থাকে এবং হলুদ অংশ বা কুসুমে ফ্যাট বা চর্বি, প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল থাকে।
বেশি ডিম খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
বেশি করে ডিম খাওয়া, বিশেষ করে ডিমের কুসুম রক্তের কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। উচ্চ রক্তের কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডিমে কিছু ভালো চর্বি থাকে, তবে এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে, যা শরীরের জন্য ভালো নয়। এ কারণে হার্টের রোগী বা যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের ডিমের কুসুম খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই সতর্কতা এমনকি ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অনেকেই মনে করেন যেহেতু ডিমের সাদা অংশে খুব ভালো প্রোটিন অ্যালবুমিন থাকে, তাহলে বেশি করে খাবেন। অনেকেই পেশি বাড়াতে দিনে বেশ কয়েকটি ডিম খান। প্রতিদিন ডিমের সাদা অংশ খাওয়া ভালো, তবে অতিরিক্ত অ্যালবুমিন গ্রহণ করলে শরীরে বায়োটিন নামক ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়।
অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে, সেক্ষেত্রে এই ধরনের মানুষ বেশি ডিম খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
বেশি ডিম খেলে পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি হতে পারে।
ডিম খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয় খাবার। একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ একবারে একটি ডিম খেতে পারেন। তবে বেশি খাওয়া কিছু মানুষের শরীরে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ কারণে প্রয়োজন ছাড়া বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।
ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হবেন। একটি ডিমে 75 ক্যালোরি, 5 গ্রাম চর্বি, 6 গ্রাম প্রোটিন, 67 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, 70 মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং 210 মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। এছাড়াও, ডিম ভিটামিন A, D এবং B12 এর একটি দুর্দান্ত উত্স। একটি ডিম সকালের নাস্তা বা রাতের খাবারের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
Pingback: দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা - Job Information 24