রাগ কমানোর উপায়
রাগ কমানোর উপায় ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করা হলো । আশাকরি কাজে আসবে । পৃথিবীতে রাগ নেই এমন মানুষ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কেউ হয়ত খুব ছোট ছোট বিষয় এ রাগ করে আবার কেউ করে না এই যা পার্থক্য। তাই আজকে আমরা রাগ হওয়ার কারণ এবং তা থেকে মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
রাগ কেন হয় বা রাগ উঠার কারণ :
আমাদের মধ্যে অনেক কিছু আছে যারা অনেক ছোটো কারণে রেগেছে।
★ ধৈর্য হারিয়ে ফেলা।
★ কোন বিষয় নিয়ে মনে হয় আমাদের সাথে অন্যায় বা পরামর্শ করা হচ্ছে।
★ মনে হয় আপনার ভাবনা চিন্তা করা হয় না।
★ ব্যক্তিগত কারণে রাগ থাকে যেমনঃ গভীর সম্পর্ক, পছন্দের না পাওয়া ইত্যাদি
★ অতিরিক্ত শব্দূষণ বা সম্ভাব্য এক্সিডেন্টের কারণে রাগ ফল হয়।
★ কিছু অনাকাঙ্ঘন অগ্রসর হওয়ার কারণ এ।
দেখতে দেখতে একজন মানুষ রেগে যায়। তাদের মধ্যে কিছু কিছু এখানে উল্লেখ করা।
রাগ উঠার বৈজ্ঞানিক কারণ :
অনেক কিছু এ ভাবতে পারেন আমাদের রাগ তাই আমাদের রাগ। এই কথা যদিও সত্য কিন্তু সম্পূর্ণরূপে না।কারণ আমাদের রাগ উঠার কারণ বৈজ্ঞানিক কারণ আছে।
আমাদের ছোট একটি এলাকা আছে। এই এলাকা আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। অ্যামিগডালা আমাদের দিকে বাহিরের থেকে কোন প্রশ্নের উত্তর চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। এই Amygdala এতই দ্রুত পদক্ষেপের জন্য তা কর্টেক্স (যা আমাদের মনের চিন্তা এবং ন্যায় বিচার করে) আমাদের পদক্ষেপের কি পরিণাম হবে মনের সম্পর্কে অবগত করতে পারে না।
রাগের জন্য যদি কোনো হরমোনকে যোগ করা হয় তাহলে এপিনেফ্রাইন এবং নরপাইনফ্রিন নামক দুইটি হারমোন বেশি বেশি করা হবে। এই দুইটি হরমোন সত্য অ্যামিগডালা থেকে নিঃসরিত হয়। যার ফলে মানুষজন সামনে রেগে যায় এবং কোন কিছু না এগিয়ে নিয়ে যায়।
রাগ কমানোর বৈজ্ঞানিক উপায়:
রাগ কখনো ভালো না কিছু বয়ে আন। গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি তার রাগ এর জন্য নিয়ে থাকে। তাই নয় রাগ এর মানুষদের জন্য কিছু কাজ করে যা নিজের কাছে থাকে তাই আমাদের উচিত নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা। সেই প্রেক্ষিতে রাগ নিয়ন্ত্রণ এর বৈজ্ঞানিক কিছু উপায় উল্লেখ করা।
স্বস্তিঃ আমার সবচেয়ে বড় উপায়ে বড় কথা বলা এবং আরদায়ক মুহর্ত কল্পনা করা।
ব্যায়ামঃ শারীরিক ব্যায়াম রাগ করার জন্য এগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি রাগ এর কিছু পথ হাঁটতে বের হয়ে যান বা দৌঁড়ান তাহলে সহজে আপনার রাগ ঠান্ডা হয়ে যাবে। যদিও রাগের মধ্যে খেলা ধূলার ইচ্ছা থাকে না তারপরেও এই সময় কিছু খেলার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে মুষ্টিযোদ্ধা বা বক্সিং করতে পারেন। এটা আপনার মনের ভিতরে জমে থাকার জন্য সব বের করতে সাহায্য করবে।
পছন্দের কাজগুলো করা: আপনি আপনার প্রিয় কোন গান এ নাচ করতে পারেন, কিছু সময় এর জন্য সাঁতার দেখতে পারেন ,মনের পছন্দ অনুযায়ী ছবি আঁকতে পারেন। আমার কাছে আমার পছন্দের ব্যাস্ত থাকলে রাগ আমার কাছে কারণ থাকবে নিজের সামনে সহজে এ প্রবেশ করবে এবং আপনার রাগ শান্ত হবে।