জাফলং এর দর্শনীয় স্থান
জাফলং এর ইতিহাসঃ
বছর ধরে জৈন্ত-রাজার অধীন নির্জন ভূমি ছিল এই প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক জাফলং। খাসিয়া জন্তা রাজ্যের অবসানৈ শুরু ১৯৫৪ সালে যখন জমিদারী প্রথা বিলুপ্তি হয়। কয়েক বছর। তারপর নৌ পথ মারদারা ধারার বিবর্তনে এখানে শুরু করেন। এই পাথর ব্যবসার প্রসার ঘ ঘোঁক প্রতিরোধ নতুন জনবসতিও। ৫৫ স্বপক্ষে নিয়োগ প্রতিষ্ঠিত হয় আশি জোট সিলেটের সাথে জাফল যোগাযোগের মাধ্যমে। তারপরে জাফলং নয়না ভিরামের কথার কথার সৃষ্টির অংশে। প্রকৃতি প্রেমীর যোগ দেশী-বিদেশীদের ভিড় জমাতে থাকে। সেরা পর্যটন স্পট দলের মধ্যে সিলেট জাফলং ও এখন একটি সেরা পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে।
জাফলং
জাফলং সিলেট – জাফলং সিলেট
জাফলং এর দর্শনীয় স্থানঃ
সিলেট শহর থেকে রাস্তার রাস্তার আঁকাবাঁকা পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে গেছে। যাওয়ার পথে যেসকল দর্শনীয় স্থান পাবেন
১। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট
২। হযরত শাহ পরান রহঃ এর মাজার
৩। সবুজ পাহাড়
৪। সারি সারি চা বাগান
৫। লালা খাল
৬। ডাউকি ল্যান্ডবর্ডার
৭। বিশাল হাওড় ইত্যাদি।
৮। সুন্দর পাথরের নদী যার পানি স্বচ্ছ
৯। জাফলং জিরো পয়েন্ট – জাফলং জিরো পয়েন্ট
১০। ডাকি জুলন্তব্রিজ
১১। মায়াবী ঝর্ণা বা বাপপুঞ্জি ঝর্ণা (নদী পার হলে পাবেন)।
জাফলং যাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ
বর্ষকাল হচ্ছে সব থেকে ভালো সময়। এই সময়ই সম্পূর্ণ দেখা যায়। তবে অবশ্য মনে রাখা আমার পক্ষে কোন মাঝপথে না হয়। কারণ তখন সব কিছু ডুবে একাকার হয়ে যায়।
বর্ষার শুরুর সময়ে অন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহ এবং বর্ষার শেষ সময়ে জুনের মাঝামাঝি বেস্ট সময়। তবে সব সময়েই যেতে পারে কারণ কাঠামো ঋতুতে কাঠামো রূপধারণ করে।
জাফলং কিভাবে যাবোঃ
এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে জেলা সিলেট জেলা সর্বপ্রথম যেতে হবে।
ঢাকা থেকে সিলেট কিভাবে যাবে
রাজধানী ঢাকা থেকে আপনি সীমান্ত, রেলপথ এবং আকাশ যেতে পারেন সিলেট শহর।
বাসীঃ গরুম গাবলী, ফরাপুল, সায়েদাবাদ ও মহাখাবা বাস টারমিনাল থেকে হানিফ, শ্যা, গ্রিনলাইন, প্রয়োগ, ইউনিক, এস আলম, লন্ডন এক্সপ্রেস ও এনা সকাল সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পরের সিলেটের উদ্দেশ্যে। এসি বাসের ভাড়া জনপ্রতি বাসভেদে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা এবং নন-এসি ভাড়া জনপ্রতি ৫৭০ টাকা। প্রায় ২৪০ উত্তর ঢাকা থেকে সিলেট দূরত্ব এবং প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সময় বাসে করে সিলেটের কাউন্সিলে।
ওভারঃ জয় কমলাপুর কলেজ রেলওয়ে স্টেশান থেকে ট্রেনে সিলেট যেতে যেতে স্টেশান থেকে উপবন, পারতন্তিকা অথবা কালনীপ্রেস ট্রেনে যেতে পারেন। উত্তরের রাষ্ট্রের মূল্য নির্ধারণ ভেদে ৩২০ থেকে ১০৯৯ টাকা। প্রায় ৭-৮ ঘন্টায় সিলেট যেতে সময়।
বিমানঃ ঢাকা থেকে সবচেয়ে দ্রুত সিলেট যাওয়ার জন্য আকাশ পথও প্রতিদিন বেশ সুন্দর ফ্লাইট রয়েছে। প্রায় ৪৫ মিনিট সময় যার জন্য আপনাকে ভাড়া গুণতে হবে ৩০০০/- থেকে ১০০০০/- টাকা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক, এস বাংলা থেকে নভোএয়ার বিমান বাংলাদেশ এবং ইউএস বাংলার বিমানে সিলেট যেতে পারবেন।
চট্রগ্রাম থেকে সিলেট কিভাবে যাবে
বাসঃ চট্রগ্রাম থেকে লিন এক্সপ্রেস, গ্রীনলাইন, ও মহল সহ অন্যান্য অংশের বেশ কিছু বাস প্রতিদিন সিলেট যায়। এসি বাসের জন্য ১২০০-১৪০০ টাকা ও নন-এসি বাসের জন্য আপনাকে ভাড়া গুণতে হবে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
ট্রেনঃ চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য পাহাড়িকা এবং এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। ভাগ অনুযায়ী জনপ্রতি আমাদের টিকেট মূল্য ৩৭৫ টাকা থেকে ১৩৩৮ টাকা।
বিমানঃ সিটি থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য বিমানে ঢাকা সিলেটে আসার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রায় ৬০০০ থেকে ১৮০০০ টাকা লাগতে পারে।
সিলেট শহর থেকে সিএনজি, লেগুনা, প্রাইভেট কার ও বাসে এশিয়ান যেতে পারেন তবে জাফলং জিরো পয়েন্ট হতে হলে সিএনজি, লেগুনা ও প্রাইভেট কার নিতে হবে। সিলেট নগর শিবগঞ্জ থেকে জাফলং এর উদ্দেশ্যে প্রায় এক ঘন্টা পর পর বাস। বাসের ভাড়া ৮০ টাকা করে।
শুধু সিএনজি রিজার্ভ করতে পারবেন নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে এবং পাঁচ ভাই এর থেকেও পাবেন। তারিখের জন্য ১৪০০ – ১৬০০০ টাকা ভাড়া নিবে। মাক্রোবাস নম্বর থেকে ৩০০০ – ৩৫০০ টাকা মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে পারেন। অথবা ২০০ টাকায় লেগুনা ভাড়া নিতে পারেন। কিন্তু বাস থেকে লেগুনা, সিএনজি বা মাইক্রোবাসই উত্তম। তাহলে আসা-যাওয়ার পাওয়ার যে স্পটগুলো দেখতে পাবেন। তবে যে বাহনই না কেন, অবশ্যই দরদাম ঠিক করবেন। ছুটির দিন অন্য ভাড়া ভাড়া বাড়ে।
থাকবেনঃ
থাকার জন্য কোন ভালো হোটেল পাবেন না। আর বাকিও, প্রয়োজন নেই ও থাকতে। কারণা শেষ করে দেখতে দেখতে দেখতে দেখতে সিলেট। কারণ সিলেট শহর থেকে অন্যান্য ভ্রমণের সুবিধা হবে। কম খরচে আপনাকে এখানে ৫০০ – ১০০০ কোড ভিতর হোটেল রয়েছে। তবে হোটেলের সুবিধার সময় যে বিষয়টা রাখতে হবে, মনে হচ্ছে যেখান থেকে মুভ করার দিকে যেতে হবে। তাই এই একই জায়গা হিসাবে আমরা দরগা গেট হতে আম্বরখানা ও তালতলা, লামাবাজার বা কদমলী এলাকা নির্বাচন করতে পারি।
আপনি যদি ভাল বাসস্থান হোটেলে হোটেল চান তবে হোটেল হলিগেইট, পানসি ইন, হলি ইন, ব্রিটানিয়া হোটেল, লা ভিস্তা হোটেল, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি হোটেল পাবেন। এর জন্য মূল্য ২,০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত। ৮,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য লাক্সার হোটেল ও রিসোর্টের হোটেলের মধ্যে থাকবেন নূরজাহান গ্র্যান্ড, নির্ভানা ইন, রোজ ভিউ হোটেল, গ্র্যান্ড প্যালেস, নাজিমগার রিসর্ট সহ আরও বেশ কিছু হোটেল।
